ডালে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে রান্না শেষ করল হাবিবা। আজ আয়োজন সামান্য, ডালের সাথে মাছ ভাজি আর ভর্তা। শরীরটা তেমন ভালো নেই তাই বেশি পদ রান্না করা হয়নি। ডালে পাঁচ ফোড়ন দিলে তেমন স্বাদ পান না, খেতে কষ্ট হলেও কিছু করার নেই। এই বাড়ির সবারই পাঁচ ফোড়ন পছন্দের। ডাল রান্না করলে এটা থাকতেই হবে।
ছোট ছেলেটা ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। মেঝো মেয়ে সেই সকাল আটটায় বের হয়ে গেছে, তখনও বিছানা ছাড়েনি হাবিবা। শরীরটা ভালো না থাকায় সকালে উঠতে ইচ্ছে হয়নি। আতোয়ার অফিসের কাজে দুদিন হল রংপুর গেছে। আরও তিনদিন থাকবে। বড় ছেলে কক্সবাজার মেডিকেলের হোস্টেলে থাকে। বাসায় তিনজন মাত্র সদস্য এখন। তাও কাজের কমতি নেই। ছেলেমেয়েদের কাপড় কাচা, রান্না, ঘরদোর পরিষ্কার করা সব তাকেই করতে হবে।