Showing posts with label প্রেম. Show all posts
Showing posts with label প্রেম. Show all posts

Thursday, December 6, 2018

শেষ চিঠি

ডালে পাঁচ ফোড়ন দিয়ে রান্না শেষ করল হাবিবা। আজ আয়োজন সামান্য, ডালের সাথে মাছ ভাজি আর ভর্তা। শরীরটা তেমন ভালো নেই তাই বেশি পদ রান্না করা হয়নি। ডালে পাঁচ ফোড়ন দিলে তেমন স্বাদ পান না, খেতে কষ্ট হলেও কিছু করার নেই। এই বাড়ির সবারই পাঁচ ফোড়ন পছন্দের। ডাল রান্না করলে এটা থাকতেই হবে।

ছোট ছেলেটা ভার্সিটিতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। মেঝো মেয়ে সেই সকাল আটটায় বের হয়ে গেছে, তখনও বিছানা ছাড়েনি হাবিবা। শরীরটা ভালো না থাকায় সকালে উঠতে ইচ্ছে হয়নি। আতোয়ার অফিসের কাজে দুদিন হল রংপুর গেছে। আরও তিনদিন থাকবে। বড় ছেলে কক্সবাজার মেডিকেলের হোস্টেলে থাকে। বাসায় তিনজন মাত্র সদস্য এখন। তাও কাজের কমতি নেই। ছেলেমেয়েদের কাপড় কাচা, রান্না, ঘরদোর পরিষ্কার করা সব তাকেই করতে হবে।

Tuesday, November 7, 2017

অভিমানিনী

বিকেলটা প্রতিদিন লাইব্রেরিতেই কাটায় পাভেল। আজ সারাদিন তার কি যেন হয়েছে। কোন কাজেই মন বসাতে পারছে না। কলেজে গিয়ে ঠিক মত ক্লাশও করতে পারেনি। অবশ্য সে এখন বি.এ ক্লাশের ছাত্র। ক্লাশ না করলেও চলে। ক্লান্ত দুপুর ঘুমিয়ে কাটিয়েছে, এখন এই অলস বিকেল নিয়ে তার চিন্তা।

লাইব্রেরিতে যাওয়ারও ইচ্ছে হচ্ছে না। আবার শুয়ে থাকতেও ইচ্ছে করছে না। পাভেল তাই বাসার ছাদে উঠে এল। দোতলা বাসার ছাদটা সত্যিই ছিমছাম করে গোছানো। ছাদের দক্ষিন অংশে গোলাপ বাগান। টবের উপর গোলাপ গাছে নানান বর্ণের গোলাপ সারা বছরই ফুটে থাকে। বাগানের এ অংশটি তৈরি করেছে পাভেলের বাবা ফজলুল করিম। তিনি সৌখিন প্রকৃতির মানুষ। সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার হিসেবে আর মাত্র দুই বছর চাকরি আছে। দেশের অনেক জায়গা ঘুরে নিজ শহরে স্থিত হয়েছে।

Thursday, November 2, 2017

সুখের ছায়া

সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠি। ফিরি রাত দশটায়।

ক্লাশ নেই বলেই হয়ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আজ এই কাজ কাল ঐ কাজ লেগে আছে। প্রতিদিন ভাবি সারাদিন হল থেকে বের হবনা, কিন্তু সকাল হলেই মনে হয় জরুরি কাজগুলো আমাকে ডাকছে!

ক্যাম্পাসে ধর্মঘট চলছে। বোমা হামলা প্রতিবাদে ডাকা হয়েছে এই ধর্মঘট। কবে ভাঙ্গবে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। বন্ধুরা সবাই বাড়ী চলে গেছে, আমি যেতে পারিনি। দুটো টিউশনি টিকিয়ে রাখতে হলে ক্যাম্পাসে থাকতেই হবে। এছাড়া কোন গতি নেই।

ফেসবুক লাইক ও শেয়ার