Saturday, October 30, 2021

ভাঙ্গা গড়া‌

কুরিয়ারে বিয়ের কার্ড এসেছে।

দামি কাগজে সুন্দর করে সাজানো একটা কার্ড। কার্ডের উপরে নিজের নামটা আরেকবার পড়লাম, ঠিকানা ভুল করে এলো কিনা সেটা নিশ্চিত হতে। নাহ আমারই নাম লেখা। কার্ডটা খুলে দেখি পাত্রের নাম শাহজাদা। নাম দেখে খটকা লেগেছিল, কোন শাহজাদা! পরে পাত্রের ডিটেইলস দেখে চিনতে পারলাম, বাল্য বন্ধু শাহজাদার বিয়ের কার্ড।
 

শাহজাদা, আমার বাল্য বেলার বন্ধু। হাইস্কুল পর্যন্ত একসাথে পড়াশোনা করেছি। এরপর একেকজন একেক দিকে। কতবছর হল যোগাযোগ হয় না, মাঝখানে শুনেছিলাম বিদেশে আছে। আমারও বাড়ি যাওয়া হয় না তেমন, তাই কে কোথায় আছে, কী করে কিছুই জানা হয় না।

Monday, May 17, 2021

কোরবানি



একে একে দশ বাড়ি একই কথা। পরে আসো, পরে আসো, এখনও ভাগ হয়নি।

সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে। কোরবানি করা হয়েছে অনেক আগেই, কারও কারও কুরবানির গরু জবাই করে গোস্ত ভাগও হয়েছে, কারও গরুর কিছু অংশ বাড়িতে নিয়েও গেছে, বাইরে মাথা, হাড়, ভুরি এসব কাটাকাটি চলছে।

Friday, June 19, 2020

অনন্ত লতা

অনন্ত চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হল। নটরডেম থেকে পাশ করার পর ভর্তি নিয়ে বেশি চিন্তিত হয়নি, বিশ্বাস ছিল ভালো কোথাও ভর্তি হতে পারবে। বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিয়ে দেখল বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বুয়েট, মেডিক্যাল কোনটাতেই হল না তখন কিছুটা চিন্তিত হয়েছিল, তবে ঢাবিতে ভর্তি হয়ে সেই চিন্তা দূর হলো। সে সাইন্স নিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে, তবে ঢাবিতে বিজ্ঞানের কোন বিষয়ে ভর্তি হতে পারলো না, সাবজেক্ট হিসেবে যা পেল সেটায় অনেকে ভর্তিই হতে চায়না।

Wednesday, May 20, 2020

ভাগনে

মুহিত যখন এইচএসসি পাশ করলো তখন তার স্কুলের বন্ধুদের মাঝে যারা পড়া চালু রেখেছিল তাদের কেউ অনার্স আবার কেউ ডিগ্রি ২য় বর্ষে পা দিয়েছে। মুহিতের কলেজ পাশ দিতে চার বছর লাগায় এই বিড়ম্বনা।
সে তার কলেজ জীবন শুরু করেছিল নাম করা কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করার মধ্য দিয়ে তবে শেষ করেছিল ফেল করাদের কলেজে ভর্তি হয়ে ফাইনালে অখ্যাত বোর্ড থেকে স্ট্যান্ড করার মধ্য দিয়ে। প্রথম বার এইচএসসি

Friday, May 10, 2019

চেকপোস্ট

দোলনের মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ হয়েছে গতকাল, আজ চাকরীর ইন্টারভিউ ছিল। চাকরীর ইন্টারভিউ নিয়ে অনেক কথাই শুনে এসেছে এর আগে। কিন্তু আজকে প্রথম ইন্টারভিউ দিয়ে ধারণা বদলে গেছে। একটি বেসরকারি সংস্থায় আইসিটির উপর লোক নিবে। দোলনের এই বিষয়ে পড়াশোনা বিস্তর থাকায় বেগ পেতে হয়নি। কাজটাও তার নিজ এলাকা উখিয়ায়। তাই দোলনের আগ্রহও বেশি ছিল।

চাকরিটা তার বেশি দরকার ছিল চাপার জন্য। চাপাডাঙ্গার চাপা নয়, ঈদগাঁওয়ের চাপার জন্য এই সময়ে চাকরিটা দরকার। দোলন তখন কলেজের তৃতীয় বর্ষে আর চাপা প্রথম বর্ষে তখন থেকে‌‌‌ তাদের প্রেম শুরু। সেইতো সেদিন চাপা প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিল সেই প্রথম দেখা। এডমিট হাতে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছিল সে। কোথায় সিট পড়েছে বুঝতে পারছে না।

ফেসবুক লাইক ও শেয়ার