Tuesday, October 31, 2017

ডুবে ডুব

ছবিটি ধার করা হয়েছে উইকি থেকে
কাকতালীয়ভাবে সর্বশেষ ৫-৬ বছর আগে হলে গিয়ে যে সিনেমাটা দেখেছিলাম (থার্ড পার্সন সিংগুলার নাম্বার) তার পরিচালক ও ডুব ছবির পরিচালক একজনই। তাকে ধন্যবাদ, এত বছর পর তার সৌজন্যে সিনেমা হলে যাওয়া হলো। তবে বেশি ধন্যবাদ পাবেন আমার কলিগ। তিনি জোড় না করলে হয়ত সিনেমা হলে গিয়ে দেখা হতো না। সিনেমাটা দেখার আগে অনেক আলোচনা পড়েছি। তাই ভয় ছিল হয়ত টিকেট পাওয়া যাবে না। তাই আগে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম কিন্তু যা ভেবেছিলাম তা না, হলের ভেতর গিয়ে দেখি মাত্র ২৫-৩০ জন ডিসিতে বসে আছে। বাকি সিটগুলো ফাঁকাই।


যাক সে কথা। হলে বসার সিটটা এমনভাবে তৈরি যে কৌশলে না বসলে পড়ে যেতে হয়, যতটা সময় ছিলাম বসা নিয়েই বেশি টেনশন ছিল। পড়ে যাই কিনা। মশার গুনগুনানি আর সিগারেটের ধোয়ার কথা নাই বা বলি।

এক সময় গান থেমে বিজ্ঞাপন শুরু হলো, বিজ্ঞাপন শেষে জাতীয় সঙ্গীত। স্কুলে কাজ করার সুবাধে কিনা জানি না, জাতীয় সঙ্গীত শুনলে কেন যেন নিয়ম মেনে আপনা আপনিই দাড়িয়ে যাই। আশে পাশে কেমন যেন বেমানান লাগল, আমরা কয়েকজন (কলিগসহ) ছাড়া আর সবাই দেখি বসেই আছে। হয়ত অনেকে জানে না জাতীয় সঙ্গীতকে দাড়িয়ে সম্মান জানাতে হয়।

সিনেমা শুরু হলো- সিনেমা হলের সাউন্ড সিস্টেমে হয়ত কোন গোলমাল ছিল তাই শব্দ বেশি ভালো শোনা যাচ্ছিল না বিশেষ করে কী ডায়লগ দিচ্ছে তা বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল। এরফান খান যেহেতু বাংলা সাবলীলভাবে বলতে পারে না তাই তার কথাগুলো বুঝতে বেশি সমস্যা হচ্ছিল। সাবটাইটেল থাকলে মন্দ হতো না।

সিনেমা তার গতিতে চলতে লাগল, অনেকেই মাঝে মাঝে বলল যে সিনেমা স্লো। তা মন্দ বলেনি। তবে ক্যামেরার কাজ বা নড়াচড়া অনেকটাই বেমানান। ঠিক প্রফেশনাল মনে হলো না। মাঝে মাঝে মনে হলো ঠিক কোথায় ক্যামেরা ধরতে হবে সেই জ্ঞানের অভাব আছে।

তিশা বারে বারে বলছিল ওর প্রতি জেলাস হয়ে ওর বান্ধবী এই কাজ করছে। এটা বারে বারে না বলে হয়ত কাজের মাধ্যমে বা ছোট বেলায় কিছু এক্টিভিটির মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া যেত। ছবিতে নাটকীয় মুহুর্তের অভাববোধ হচ্ছিল। আরও নাটকীয় করা যেত।

যে দুইটি সিন ভালো লেগেছে বেশি:- ১। গাড়ির ছাদে বৃষ্টি ২ তিশা ও রোকেয়া (মা-মেয়ের) কাশবনে জড়িয়ে ধরা। অসাধারণ লেগেছে।

সিনেমা দেখে বের হওয়ার সময় দেখি দুইজন বয়স্ক ব্যক্তি সিড়ি দিয়ে নামছেন। দেখে মনে হল উনারা স্বামী-স্ত্রী, উনারা যাই হোক, এই বয়সে যে উনাদের হলে নিয়ে আসতে পেরেছে তার জন্যেও ধন্যবাদ পাবেন পরিচালক ও সবাই।

একটা কাজের সাথে যুক্ত থেকে শুটিং দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল, কয়েক মিনিটের ভিডিও বানাতে গিয়ে যে পরিমান পরিশ্রম হয় তা দেখে কিছুটা ধারণা হয়েছে সিনেমা বানাতে কি কষ্ট করতে হয়। কষ্টটা তখনই সফল হবে যখন তা মানুষ দেখবে। এত কষ্ট করে একটি ছবি উপহার দেওয়ার জন্য আবারও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ
আপনার মন্তব্য লিখুন

ফেসবুক লাইক ও শেয়ার